২০২২ সালের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সকল শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বার্ষিক মূল্যায়ন পদ্ধতি নির্ধারণ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
একই সাথে প্রাইমারি স্কুলের বাষিক পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ করা হয়েছে। প্রাথমিকের সকল শ্রেণির ৩য় প্রান্তিকের মূল্যায়ন পরীক্ষা শুরু হবে ৮ ডিসেম্বর থেকে।
শিক্ষার্থীদের প্রতিটি বিষয়ের তৃতীয় প্রান্তিক বা বাষিক পরীক্ষা হবে ৬০ নম্বরের। এর সাথে পূর্বের ক্লাস টেস্ট ৪০ নম্বর যুক্ত করে শিখন অগ্রগতির প্রতিবেদন প্রকাশ করতে হবে।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক মূল্যায়ন পদ্ধতি ২০২২: ১ম-৫ম শ্রেণি পরীক্ষার রুটিন
২০২২ সালের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ম থেকে ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রতিটি বিষয়ের তৃতীয় প্রান্তিক বা বার্ষিক পরীক্ষা হবে ৬০ নম্বরের। আর পূর্ববর্তী সপ্তাহ ভিত্তিক ক্লাস টেস্ট থেকে ৪০ নম্বর যুক্ত হবে।
১ম থেকে ৫ম শ্রেণির প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের, ৫টি বিষয়ের প্রতিটিতে বিষয়ে মোট ১০০ নম্বরের মধ্যে বার্ষিক মূল্যায়ন করা হবে।
প্রাথমিকের ৩য় প্রান্তিকের বার্ষিক মূল্যায়ন পরীক্ষা ৮ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে। পরীক্ষা চলবে ১৯ ডিসেম্বর ২০২২ খ্রি. তারিখ পর্যন্ত।
বর্তমান শিক্ষাক্রম অনুসারে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা উঠিয়ে দেওয়ার কারণে এভাবেই শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে।
অধিদপ্তর থেকে প্রাথমিকের বার্ষিক মূল্যায়নের পদ্ধতি নির্ধারণ ও পরীক্ষার রুটিন, ২৭ নভেম্বর ২০২২ খ্রি. তারিখে প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক মনীষ চাকমা স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক মূল্যায়ণ পরীক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
প্রাইমারি স্কুলের ৩য় প্রান্তিক মূল্যায়ন বার্ষিক পরীক্ষার রুটিন (১ম-৫ম শ্রেণি)
দেশের সকল প্রাইমারি স্কুলের ৩য় প্রান্তিকের বার্ষিক মূল্যায়ন পরীক্ষার সময়সূচি সম্বলিত রুটিন প্রকাশ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
২৭ নভেম্বর প্রকাশিত অধিদপ্তরের পরিচালক মনীষ চাকমা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে প্রাইমারির বার্ষিক পরীক্ষার সময়সূচির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
৩য় প্রান্তিকের বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হবে ৮ ডিসেম্বর ২০২২ খ্রি. তারিখ থেকে। পরীক্ষা চলবে ১৯ ডিসেম্বর ২০২২ খ্রি. তারিখ পর্যন্ত।
প্রাইমারির পরীক্ষার রুটিন প্রকাশের পাশাপাশি পরীক্ষা গ্রহণ সংক্রান্ত বিষয়ে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনাগুলো জানুন-
প্রতি শ্রেণিতে প্রতি বিষয়ে ৬০ নম্বরের বার্ষিক মূল্যায়ন করতে হবে।
সহকারি থানা/ উপজেলা শিক্ষা অফিসারের তত্বাবধানে বিষয় শিক্ষকের মাধ্যমে জ্ঞান, অনুধাবন ও প্রয়োগমূলক শিখন ক্ষেত্র বিবেচনায় ক্লাস্টার ওয়ারী প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করতে হবে।
শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোন ফি নেওয়া যাবে না।
প্রশ্নপত্র প্রিন্ট করে ফটোকপি করে সরবরাহ করতে হবে।
কোন অবস্থাতেই প্রশ্নপত্র ছাপাখানায় মুদ্রণ করা যাবে না।
পরীক্ষার ব্যয় বিদ্যালয়ের আনুষঙ্গিক খাত /স্লিপ খাত থেকে ব্যয় করা যাবে।
প্রত্যেকটি বিষয়ে শ্রেণি মূল্যায়নের প্রাপ্ত নম্বর ও চূড়ান্ত প্রান্তিকের প্রাপ্ত নম্বর যোগ করে ২০২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের অগ্রগতির প্রতিবেদন প্রণয়ন করতে হবে এবং অভিভাবকদের অবহিত করতে হবে।
কোন বিশেষ পরিস্থিতির জন্য মূল্যায়নের তারিখ ও সময়সূচি পরিবর্তনের প্রয়োজন হলে সংশ্লিষ্ট থানা /উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে তারিখ ও সময় পুনঃনির্ধারণ করতে পারবে।
নিচের বিজ্ঞপ্তি হতে প্রাইমারি স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষার রুটিন দেখুন।
এছাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক মূল্যায়ন কীভাবে হবে, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রেরিত পরিপত্রে বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়েছে। এছাড়া শিক্ষার্থী মূল্যায়নের নমুণা ছকের মাধ্যমে বিষয়টি আরো স্পষ্ট করা হয়েছে।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য কেন এই বার্ষিক মূল্যায়ন পদ্ধতি?
জাতীয় শিক্ষাক্রম রুপরেখা ২০২১ অনুসারে, এসএসসি বা মাধ্যমিক পরীক্ষার পূর্বে কোনো ধরণের পাবলিক অনুষ্ঠিত হবে না।
নতুন শিক্ষাক্রমে এসব শ্রেণিতে পূর্বের মত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত না হলেও, নতুন প্রবর্তিত ধারাবাহিক মূল্যায়নের উপর ভিত্তি করে প্রতি প্রান্তিকে ফলাফল প্রদান করা হবে।
তবে ২০২৩ সালে ধারাবাহিক মূল্যায়ন প্রবর্তনের পূর্বে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রচলিত পরীক্ষা তথা মূল্যায়ন পদ্ধতি চলমান থাকবে।